fbpx

আইবিএস (IBS – Irritable Bowel Syndrome)  হল পরিপাকতন্ত্রের একটি সমস্যা যেখানে অনেকগুলো উপসর্গ থাকে যেমন পেটে  খিল ধরে ব্যথা, অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হওয়া, খাবার হজম না হওয়া, পেট ফেঁপে যাওয়া, ডায়ারিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য । এই লক্ষণগুলো যদি ছয় মাসের বেশি সময় ধরে থাকে এবং মাসে কমপক্ষে তিন বার হয় তাহলে আইবিএস হতে পারে ।

আইবিএসের  সঠিক  কারণ অজানা । পরিপাকতন্ত্রের অস্বাভাবিক সংকোচন প্রসারনের জন্য এই সমস্যাটি সাধারণত হয় ।
এটি কয়েক ধরণের হতে পারে যেমন ডায়ারিয়া যুক্ত আইবিএস ( IBS – D), কোষ্টকাঠিন্যযুক্ত আইবিএস ( IBS – C) অথবা দুই ধরণের মিশ্রণ ( IBS – Mixed) |
আইবিএসের কোনো নিৰ্দিষ্ট চিকিৎসা নেই কিন্তু কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আইবিএস কমানো যায়  । এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন ।
আইবিএসে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন খাবারে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানায় ।
কিছু খাবার যেগুলো উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে সেগুলো হল —
১. হোল গ্রেইন চালের ভাত ।
২. ফল, শাক সবজি ।
৩. পরিমাণমত জল কমপক্ষে তিন লিটার সারাদিনে ।
৪. কম চর্বিযুক্ত খাবার যেমন মাছ, ডিম, মুরগির মাংস ।
এই খাবারগুলো কমান অথবা বাদ দিন —
১. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার 
২. রুটি বা গম,জব,বার্লি থেকে তৈরি যেকোন খাবার 
২. কিছু সবজি যেগুলো গ্যাস বাড়ায় যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি
৩. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ও ভাজা খাবার 
৪. চা, কফি, এলকোহল, ধূমপান 
৫. বাদাম 
৬. মিষ্টি 
খাবার অল্প পরিমাণে চার ঘন্টা অন্তর খান ।
যে খাবারগুলো খেলে আইবিএস বাড়ে সেগুলোর রেকর্ড রাখুন এবং তিন মাস বন্ধ রেখে দেখুন কোনো উন্নতি হচ্ছে কিনা ।
আইবিএসে দুশ্চিন্তা করবেন না । দুশ্চিন্তা বাড়লে এই সমস্যাটি আরো বাড়ে । তাই মনকে যতটা সম্ভব শান্ত রাখুন – কাজের চাপ কমান বা যোগ ব্যায়াম করুন ।
বিশদে জানতে যোগাযোগ করুন ডাঃ দেবব্রত সরকার – জেনারেল ফিজিসিয়ান । ফোন : 9734100999
ওয়েবসাইট www.drdsarkar.com , ক্লিনিক – মেড কানেক্ট প্লাস ইক্লিনিক, রানীবাগান, বহরমপুর মুর্শিদাবাদ ।

Pin It on Pinterest

×